জাহিদুল আলম রাজন
১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর তিনটায় গড়িয়েছে। শ্রাবণের শেষ দিনগুলোতে টিপটিপ বৃষ্টি ঝরছে শহরতলীর বিজয় সিং দীঘির গাছপালা সেজেছে অপরূপ রূপে বর্ষার শুনশান নীরবতা।
শহুরে যান্ত্রিকতা ভেঙে তরুণ তরুণীরা একে একে জড়ো হতে শুরু করেছে বিজয় সিং দিঘির পাড়ে — হাতে রকমারী বই আর বসার বা শোয়ার মাদুর।কেউবা এনেছে হুমায়ুন আহমেদ কেউ বিভূতিভূষণ কেউ সমরেশ, আবার কেউ পাওলো কোয়েলহো বা কলিন হুভা। কেউ কেউ আবার নিয়ে এসেছিলেন ইতিহাসের বই।
আবার কেউ এনেছে নন ফিকশন বই। দেখতে দেখতে চলে এলো প্রায় ২০-২২ জন তরুণ-তরুণী। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। তারা এসেছে ‘বই পড়ার নীরব বিপ্লব’ কর্মসূচিতে।
উন্মুক্ত জায়গায় পড়ার এমন বিপ্লবের শুরুটা চলতি বছর জানুয়ারির ৭ তারিখ। ভারতের অন্যতম ব্যস্ত শহর বেঙ্গালুরুর কাবোন পার্কে। বই পড়ার উদ্দেশ্যে দুই বন্ধু মিলে খোলেন একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। নাম দেন ‘কাবোন রিডস’। একই রকমভাবে জড়ো হওয়ার স্থানের নামের সাথে রিডস যোগ করে অন্য বড় বড় শহরগুলোর জন্যও খোলা হয়েছে পৃথক পৃথক অ্যাকাউন্ট। ঢাকায় শুরু হওয়া রমনার এই কর্মসূচিও ঢাকা রিডস নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। প্রথমে ঢাকায় শুরু হলেও এই সাপ্তাহ থেকে ৮টি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়।
ফেনীতে হেল্প ফর টুডে এবং ভলেন্টিয়ার সার্কেল ফেনীর সার্বিক সহযোগীয় ফেনীতে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
বই পড়ার এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করা এক পাঠক বলেন, ঢাকার কার্যক্রম থেকে আমরা খুব ইচ্ছে করতেছিলো ফেনীতে যদি এই দায়িত্ব কেউ নিতো? কিন্তুু আমি বুধবার শুনতে পাই হেল্প ফর টুডে এবং ভলেন্টিয়াররা সার্কেল ফেনী এই উদ্যোগ ফেনীতে নিয়েছে। তাই আমি আর বসে থাকতে না পেরে এই নিরবে বই পড়া কর্মসূচিতে চলে আসলাম।
এই কর্মসূচি বাস্তবায় কারি সংগঠনের সদস্যরা বলেন এই কার্যক্রম প্রতি শুক্রবার বিজয় সিং দীঘিতে গাছের নিচে সুন্দর পরিবেশ এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।