ফেনীতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন

author
0 minutes, 1 second Read

 নিজস্ব প্রতিবেদঃ-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষষ্ঠ পর্যায়ে আজ দেশের ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। এদের মধ্যে ফেনী জেলা মডেল মসজিদ রয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ফেনী জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই মডেল মসজিদে প্রতি ওয়াক্তে ১ হাজার ২০০ পুরুষ ও ৫০০ নারী নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আধুনিক সব সুবিধার এসব মডেল মসজিদ নির্মাণ করায় ফেনীর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

ফেনী জেলা সদরের ফতেহপুর এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহিনা আক্তার, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।

এ সময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেছে মেসার্স আরএসসিএল অ্যান্ড আরএফ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

মডেল মসজিদে আছে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক অজু ও নামাজের ব্যবস্থা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, মৃতদেহ গোসল ও জানাজার ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, হিজফখানার ব্যবস্থা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, দ্বীনি দাওয়াত ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সভাকক্ষ, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি মেহমানদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ সময়ের চাহিদা মোতাবেক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুযোগ।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক, ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর দান করা ৪৩ শতাংশ জমির ওপর ফতেহপুর গ্রামে নির্মিত হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা এবং সময় লেগেছে চার বছর চার মাস।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *