যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সংবাদকর্মীদের নিয়ে ফেনীতে নাটাবের মত-বিনিময় সভা

author
0 minutes, 2 seconds Read

জাহিদুল আলম রাজন

“বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে ” – মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার- এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে যক্ষ্মারোগী সনাক্তকরণ ও যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের করণীয় শীর্ষক মত-বিনিময় সভা বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

নাটাব ফেনী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও নাটাব ফিল্ড লেভেল ষ্টাফ মাসুদ হাসানের পরিচালনায়
মত-বিনিময় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ফেনী বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ খুরশিদ আলম।

এতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক প্রথম আলোর ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের,ডিবিসি নিউজ ও দ্যা ডেইলি অবজারভারের জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া,চ্যানেল আই জেলা প্রতিনিধি রবিউল হক রবি,দৈনিক নয়া পয়গামের সম্পাদক মো: এনামুল হক পাটোয়ারী, দৈনিক স্টার লাইনের সহযোগী সম্পাদক জসিম মাহমুদ, ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ ফেনী শাখার সভাপতি ও দৈনিক অজেয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শাহজালাল ভূঁঞা, দৈনিক জনবাণীর জেলা প্রতিনিধি মোঃ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

মত-বিনিময় সভায় ফেনীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
মত-বিনিময় সভায় আলোচকগণ সভায় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই এইসব কথা এখন চলে না। আপনারা মনে রাখবেন যক্ষ্মারোগীদের চিকিৎসা, ঔষুধ পরীক্ষা- নিরিক্ষা সব বিনামূল্যে সরকারি খরচে করা হয়। ফুসফুসে যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ হলো এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি, এছাড়াও বিকেলের দিকে অল্প জ্বর এবং রাতে শরীর ঘেমে জ্বর ছেড়ে যাওয়া,খাবারে অরুচি,ওজন কমে যাওয়া এবং শরীর দিন দিন দূর্বল হয়ে যাওয়া,বুকে অথবা পিঠের উপরের অংশে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট,কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত যাওয়া এই সমস্ত লক্ষণগুলো দেখলে তাকে নিকটতম সরকারি হাসপাতাল,উপজেলা হাসপাতাল সমূহ, জেলা সদর হাসপাতাল,বক্ষব্যাধি ক্লিনিক এবং কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আসতে পরামর্শ দিবেন। নাটাবের সূত্র মতে বাংলাদেশে এখনো প্রতি বছর ২২১ জন মানুষ নতুন করে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়।প্রতি লাখে যক্ষ্মার কারণে দেশে প্রতি বছর মৃত্যু বরণ করে ২৪ জন।বাংলাদেশে যক্ষ্মার চিকিৎসা সাফল্যের হার প্রায় ৯৪%।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *