নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সামাজিক ও পরিবেশ সুরক্ষামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পরিবেশ ক্লাব অব ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৪-২৫ গঠন করা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন আইন বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোঃ মহসিন আবেদিন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন একই বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তাওহিদ আলম সিদ্দিকি। কমিটিতে স্থান পাওয়া অন্যান্যরা হলেন— সহ-সভাপতি সালমান আহমেদ (ফিমস-১৫), তারেক রহমান (ফিমস-১৫), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মেহেরুন নেছা (বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ অধ্যায়ন বিভাগ-১৫), অর্পিতা দাশ (আইন-১৫), মিজানুর রহমান (ফিমস-১৬), সাংগঠনিক সম্পাদক: খালেদ মাসুদ সুজন (আইন-১৫), দপ্তর সম্পাদক: আশরাফুল হক শিহাব (আইন-১৭) অর্থ সম্পাদক: মো. রেদোয়ান (আইন-১৭), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মাহমুদা আক্তার মোহনা (সমাজকর্ম-১৭), বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: রিয়াদুল জান্নাত মারিয়া ( সমাজকর্ম-১৬), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: সোহাইবুর রহমান হৃদয় (সমাজকর্ম-১৭), কার্যকরী সদস্য হিসাবে রয়েছেন— উম্মে সাউদিয়া ( সমাজকর্ম-১৭) এবং মো. ফজলুল আজিম (আইন-১৮)।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নজরুল বিন মাহমুদুল এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মদ এর অনুমোদনক্রমে এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর নির্দেশক্রমে ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে আগামী এক বছরের জন্য কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন অধাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান (চেয়ারম্যান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ) এবং উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যান্য সদস্যরা হলেন মোঃ জামশেদুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ), সাজ্জাদুল করিম (প্রভাষক, আইন বিভাগ), আব্দুর রহিম (হিসাব পরিচালকের দপ্তর)।
সংগঠনটি পরিবেশ সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণ, বৃক্ষের পরিচর্যা, পরিবেশ দূষণ ও জলবায় পরিবর্তনজনিত সমস্যা নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। দায়িত্ব পাওয়ার পর সভাপতি বলেন, ❝আমাদের পরিবেশ আজ বিপন্ন। জলবায়ুর পরিবর্তন, বায়ু দূষণ, বনভূমি ধ্বংসসহ নানা সংকটে আমাদের পৃথিবী আজ হুমকির মুখে। এই ক্লাবের মূল লক্ষ্যই হবে পরিবেশ রক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
আমরা সবাই মিলে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনতে পারি। ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ নিয়ে কাজ করবো। এসময় আমার লক্ষ্য হবে আরও শিক্ষামূলক কার্যক্রম, কর্মশালা এবং বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের আয়োজন করা।❞
দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন— ❝নগরায়ণের শতাব্দীতে বৃক্ষের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে পৃথিবী তত যান্ত্রিক হচ্ছে। যান্ত্রিকতার প্রবল থাবায় পরিবেশ আজ বিপন্নপ্রায়। প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আমাদের সবার দায়িত্ব পরিবেশকে রক্ষা করা, পুনর্ব্যবহার ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারে মনোযোগ দেওয়া। একসাথে কাজ করলে আমরা পৃথিবীকে আরো নিরাপদ ও বাসযোগ্য রাখতে পারব। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায়— ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি—
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার।