নিজস্ব প্রতিনিধঃ-
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার জাকির হাসান।
উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি ইটের ভাঙ্গা অংশ ও রক্তমাখা ব্যাগ, লুন্ঠিত ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার ৯শ টাকা, ১টি বেসলেট, লুন্ঠিত টাকা দিয়ে কেনা ১টি সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১টি বাটন মোবাইল, ১টি রূপার চেইন,পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকৃত ১টি মোবাইল ফোন। এ মামলার ঘটনায় ১টি অটোরিকশা ও পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকৃত ২টি অটোরিকশা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন, থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন, জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ারুল আজিম।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউপির সুবলপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. আবুল হোসেন কালা মিয়া (৫১) লেমুয়া খাইয়ারা বাজার থেকে তার ছেলের পাঠানো বিকাশের নগদ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে যাত্রীর অপেক্ষায় খাইয়ারা বাজারে অপেক্ষমান ছিলেন। অপেক্ষায় থাকা যাত্রীবেশে একজন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে লেমুয়া ইউপিস্থ বাগের পুকুর পাড় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কালা মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া করে। রিকশা চালক যাত্রীকে নিয়ে রাগের পুকুর পাড় কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে যাত্রীবেশে থাকা অজ্ঞাতনামা ওই দুস্কৃতিকারী সুযোগ বুঝে বাজারের ব্যাগ থেকে ইট বের করে রিকশা চালক কালা মিয়ার মাথার তালু বরাবরে সজোরে আঘাত করে অটোরিকশা ও চালকের সঙ্গে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা লুন্ঠন করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অটো রিকশা চালক আবুল হোসেন কালাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে নিহতের ভাই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল সোর্সিয়ের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। পরবর্তীতে বোগদাদীয়া ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রাসেল মিয়া চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানা এলাকা থেকে ঘটনার জড়িত নুর নবী (২৫) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার নুর নবী ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। এসময় সীতাকুণ্ডে থেকে অপর সহযোগী জিয়াউর রহমান (৪২), ইউসুফ (৫৫) কে গ্রেফতার করে।