গতকাল রাত ৮টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের করিডোরে শেষ বারের মতো যখন বুলবুলকে দেখতে গিয়েছিলাম তখনও বিষণ ক্লান্ত দেখাচ্ছিলো বুলবুলকে।
ফয়সাল ভূঁইয়া ও মিলন ভাই অনেক চেষ্টা করেছিলো বুলবুলকে কিছু খাওয়ানোর জন্য কিন্তু সে কিছুই খায়নি। শেষ বারের মতো আমি অনেক চেষ্টা করে এক টুকরো পাওয়া রুটি দিয়ে ছিলাম মুখে।
তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম একবার বলুন আপনার বাড়ি কোথায় আপনার? বাড়িতে নিয়ে যাবো। তিনি বলেছেন তার কেউ নেই! আমিও যেনো চলে যাই। আমি চলে আসলাম রাত ১ টার দিকে খবর এলো তিনি মারা গেছেন।
প্রায় ১ যুগ আগে ফেনীর নাজির রোড এলাকায় যখন সে থাকতো আমাকে ভীষণ পছন্দ করতো। তাকে আমরা রাষ্ট্রপতি বলে ডাকতাম। একদিন তিনি আমাকে বলেছিলো তার নাম বুলবুল সেই থেকে তিনি আমার কাছে বুলবুল ভাই।
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত ও বসন্তে তাকে শহরে খালি গায়ে দেখা যেতো। ছোট একটি বস্তার টুকরো পড়ে ঘুরে বেড়াতো। শহরের প্রায় সবার পরিচিত কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বুলবুল তার ভাষ্যমতে নাম।
গত তিন দিন আগে অসুস্থ অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের মাধ্যমে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।
অদ্যরাত ১টার সময় তিনি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন
কেউ তাকে চিনতে পারলে তার পরিবারকে খবর দেয়ার অনুরোধ রইলো।
(দুলাল তালুকদার,সাধারণ সম্পাদক সহায়)