সাইবার অপরাধ: সচেতন হওয়ার এখনই সময়’-ফেনীতে জেলাপ্রশাসক এর নেতৃত্বে কমিটি গঠন

author
0 minutes, 6 seconds Read

দেশে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। ভিত্তিহীন গুজব, ফেক নিউজ, আত্বহত্যা, পর্নোগ্রাফি, সাইবার বুলিং, রাজনৈতিক অপপ্রচার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কৃষক-শ্রমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছেন যার বেশির ভাগ মানুষই এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নন। ‘অন্তর্জালে’ যুক্ত হতে গিয়ে তারা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়ছেন “ভ্রান্তির-জালে”। বাস্তব জীবনে ঘটমান অপরাধগুলো এখন ডিজিটাল মাধ্যমে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এভাবেই অপরাধের ডিজিটাল রূপান্তর যেন প্রতিনিয়ত মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।

সাইবার অপরাধকে এভাবে আমরা সংজ্ঞায়িত করতে পারি যে আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক যেমন ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে কোনো ব্যক্তি বা ব্যাক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্মানহানি কিংবা শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি বা ক্ষতির কারণ হওয়া। ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতে বাংলাদেশে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ১১ রকমের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে:-

১) ছবি বিকৃত করে অনলাইনে প্রচারণা
২) পর্নোগ্রাফি
৩) একাউন্ট হ্যাকিং, ফিশিং, স্নুফিং
৪) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার
৫) ভুক্তভোগীদের মধ্যে যারা নারী, তারা যাতে সহজেই তাদের হয়রানির বিষয়টি জানাতে যোগাযোগ করতে পারেন সে জন্য “পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন” নামে একটি সার্ভিস রয়েছে। তার একটি হটলাইন নাম্বার (০১৩২০-০০০৮৮৮) রয়েছে। এছাড়া, তাদের সমস্যা পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন এর ফেসবুক পেজে মেসেজ পাঠিয়ে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও জানাতে পারেন।

ফেসবুক পেজ: Police Cyber Support for Women PCSW
ই-মেইল: cybersupport.women@police.gov.bd
হটলাইন মোবাইল নম্বর: ০১৩২০০০০৮৮৮
তা ছাড়াও 999 নাম্বারে ফোন দিলে প্রয়োজনীয় জরুরী সেবা পাবেন।

পাশাপাশি রয়েছে RAB এর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 01777710711-12 (কোম্পানি কমান্ডার) এই নাম্বারে কল দিয়ে ও RAB-7 এর সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

৬) স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা যেমন “সহায়” নানা সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিবে। সাইবার অপরাধ নিয়ে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, কর্মশালা আয়োজন ইত্যাদি করতে পারে।
৭) স্কুল ও কলেজে “সাইবার অপরাধ” বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি আয়োজন করবে।
৮) সুস্থ সাইবার সংস্কৃতি বিকাশে স্থানীয় ক্যাবল টেলিভিশনগুলোতে এ বিষয়ে প্রচার চালাবে জেলা তথ্য অফিস।
৯) “সাইবার অপরাধ” বিষয়ে বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে সচেতনতামূলক আলোচনা করবে।
পরিশেষে যদি প্রশ্ন করা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ কম্পিউটার কোনটি? উত্তর হবে: যে কম্পিউটারটি সব সময় বন্ধ থাকে। কিন্ত বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, যেখানে তথ্য প্রযুক্তি হবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার। তাই তথ্য প্রযুক্তিখাতের অপব্যবহাররোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবি।

জেলা কমিটির পক্ষে-

এস.এম.আল-আমিন
তথ্য অফিসার
জেলা তথ্য অফিস,ফেনী

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *