বৃহস্পতিবার দুপুরে রোডমার্চের মাঝপথে ফেনীর মহিপালে এক পথসভায় তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “তারেক রহমান ৮ হাজার মাইল দূর থেকে প্রতিদিন আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, পরিচালনা করছেন। তার কাছে আপনারা প্রতিজ্ঞা করেন যে, আপনারা আর ছাড় দেবেন না, কোনো আপস মেনে নেয়া হবে না।”

রোডমার্চে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখানে আমাদের প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সাহেবের স্ত্রী হাসনা মওদুদ বসে আছেন.. দেশ-বিদেশে অনেকে তাকে চিনেন… এখানে আসার সময়ে ১৯টা গাড়ি ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এখন শুনলাম এই হামলার ঘটনা ঘটেছে ওবায়দুল কাদের সাহেবের বাড়ির সামনে।”
ফেনীর সন্তান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর সরকারের নির্দয় আচরণের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই নেত্রী আজকে গণতন্ত্রের পতাকা তুলে ধরেছেন। সেই নেত্রী আমাদের মা, আপনাদের মেয়ে। তিনি আজকে চিকিৎসার সুযোগ পান না। ডাক্তাররা বলেছেন, তাকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা সম্পর্কে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা নিয়ে বলার আমাদের ভাষা নাই। এই অবস্থা আমরা মেনে নিতে পারি না।
ফেনী জেলা আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ খালেক, গাজী হাবিবুলল্লাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় পথসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাসনা মওদুদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও রেহানা আখতার রানু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পথসভা শেষে রোডমার্চ চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়।