সদর প্রতিনিধিঃ
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ভালুকিয়ায় অবাধে চলছে মাদক কারবার। প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের বাজারে পরিণত হয়েছে পুরো গ্রাম। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ভালুকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্হানীয় জনগণকে সচেতন করার লক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে যৌতুক,মাদক ও ইভটিজিং বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা। সভায় পুলিশ প্রশাসন,সিভিল প্রশাসন, জনপ্রতিনিধির,সাংবাদিক, কবি,আইনজীবি, মাওলানা, নারী নেত্রী ও এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্হিত ছিলেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়েছে সাধারন মানুষ। ভরসা পাচ্ছেন এলাকার সাধারন মানুষ। অন্যদিকে আতংকে মাদক কারবারী ও বখাটেরা।
ফলে৷ অসামাজিক কার্য্যকলাপের হোতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে সাধারন মানুষ।
ভালুকিয়ার গিরাওয়ালা কোনার মনির আহমেদের ছেলে দেলুর নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নিচ্ছে মাটি সন্ত্রাসীরা। বাচ্চুর ছেলে রাসেল এখানে ভয়ংকর ইভটেজার। রাসেল গ্যাংয়ের নেতৃত্বে স্কুল- কলেজগামী ছাত্রীদের উত্যক্ত করা এখানে ওপেন সিক্রেট। নাথ বাড়ী ও জেলেপাড়ার হিন্দুদের জিম্মি করে বাড়ীর আশপাশে দেলুর নেতৃত্বে চলছে অবাধে জুয়ার আসর। ভালুকিয়া দিঘীর পাড়ে রাত তিনটা পর্যন্ত চলে জুয়া ও মাদক কারবার। এখানে নেতৃত্বে আছে মিজানের ছেলে চা দোকানী দেলু। ভালুকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে মাদকের পাইকারী বিক্রেতা সুমন প্রকাশ জামাই সুমন। সুমনের পৃষ্টপোষকতায় ছেরাজুল ইসলামের ছেলে আবুল, বাবুল ও স্হানীয় আনোয়ার মাদক কারবার ও জুয়ায় জড়িত। এসব সিন্ডিকেট পরিচালনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগের তীর স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মির হোসেন মিরুর দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভালুকিয়ার একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিরুর অনুসারীরা বরাবরই সামাজিক গঠনমূলক কাজে স্হানীয়দের নিরুৎসাহিত করে। শুক্রবারের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ব্যর্থ করতে মেম্বার মিরুর অনসারীরা সভায় যোগ দেয়নি এবং অন্যদেরকেও যেতে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে।
মিরু মেম্বার হওয়ার পর তার অনুসারী গিরাওয়ালা কোনার বর্বর বখাটেরা পুরো গ্রামের মানুষকে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করে জিম্মি করে রেখেছে। মেম্বারের প্রিয়ভাজন বাচ্চুর ছেলে রাসেল স্কুল- কলেজগামী ছাত্রীদের প্রকাশ্যে ইভটিজিং করলেও অভিযোগ দিয়ে মিরুর কাছে ভূক্তভোগীরা কোন বিচার পায়নি। ইভটিজিং ও মাদক বিরোধী সভার পর পরই ইভটেজার রাসেল সোনাপুর স্কুলের ওই শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়! শুধু তাই নয়, রাসেল ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলে,মেম্বার মিরুর কাছে গিয়ে অভিযোগ তুলে না নিলে যেকোন সময় তোকে তুলে নিয়ে যাবো। ফলে ওই ছাত্রীর পরিবার এখন সন্ত্রাসী রাসেল গ্যাং আতংকে ভুগছে।
ফোনে হুমকি ঘটনাটি সোনাপুর স্কুলের ম্যানজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, মেম্বার মিরু ও কালিদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিমকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু হুমকি দেওয়ার চারদিন পেরিয়ে গেলেও মেম্বার এই ব্যাপারে কোনরকম সামাজিক ব্যবস্হা নেয়নি।
ইভটেজার রাসেলের ব্যাপারে কালিদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম হুঁসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন,তার কোন ছাড় নাই। কালিদহ ইউনিয়ন কোন ইভটেজার ও বখাটে বেয়াদপ থাকবেনা। ছাত্রীদের উত্যক্তকারী সে যেই হোক তাকে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে মেম্বার মিরু বলেন, রাসেল বর্তমানে গ্রাম ছাড়া। গ্রামে এলেই তাকে ধরে আমি পুলিশে দেবো। রাসেলের কোন ছাড় নাই। গ্রাম থেকে মাদক কারবারী তাড়ানোর জন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই।