ফেনী থেকে জাহিদুল আলম রাজন
শুক্রবার রাতে (১৯ মে) ফেনী মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। তিনটি ক্যারেটে ভরে ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল কনক চন্দ্র দাস। এ সময় তার কাছ থেকে ১০৮টি (৮০ কেজি) সুন্দি কাছিম উদ্ধার ও তাকে আটক করা হয়েছে। কাছিমগুলো শনিবার দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্ক ও কালিদাস পাখালিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
কাজিরবাগ ইকোপার্কে কাছিমগুলো অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন, সামাজিক বন বিভাগ ফেনী সদরের রেঞ্জ অফিসার বাবুল চন্দ্র ভৌমিক, ফেনী বন্যপ্রাণী রেস্কিউ টিমের ফাউন্ডার সাইমুন ফারাভী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানিয়েছেন, আটককৃত ব্যক্তির নাম কনক চন্দ্র দাস। তিনি লক্ষীপুর কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো শনিবার (২০ মে) দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা বলেন, সুন্দি কাছিম স্থানীয়ভাবে চিতি কাছিম নামেও পরিচিত। দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে প্রচুর সুন্দি কাছিম দেখা যেত। বর্তমানে বাসস্থান ধ্বংস ও শিকারের কারণে এ জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, কাছিম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটককৃত পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।