নোবিপ্রবিতে শোকাবহ আগস্টে পোস্টার ডিজাইন ও স্লোগান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।
নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে আইন অনুষদ এবং শিক্ষাবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে পোস্টার ডিজাইন ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১০ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির মুক্তমঞ্চে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রোগ্রামে পোস্টার ডিজাইনে ২১টি দল অংশগ্রহণ করে। যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাসসহ শোকাবহ আগষ্টের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। এসময় শিক্ষার্থীরা পোস্টার ডিজাইন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুই লাইনের কবিতা লেখা এবং স্লোগান উপস্থাপন করেন। প্রোগ্রামে বিচারক হিসাবে ছিলেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তী বড়ুয়া এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাহানা রহমান।
পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আইন বিভাগের ৩য় ব্যাচের গ্রুপ। তারা বঙ্গবন্ধুর দর্পনে দ্বিতীয় বিপ্লব প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এছাড়াও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন শিক্ষা প্রশাসনের দুটি গ্রুপ। স্লোগানে অংশগ্রহণ করা দলগুলো থেকে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিযোগিতায় অতিথিরা শোকাবহ আগষ্ট নিয়ে পোস্টার প্রেজেন্টেশন ঘুরে দেখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে ভালো দিক শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার আদর্শ মুছে দিতে দুষ্কৃতিকারীরা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে নানা প্রোপাগাণ্ডা চালিয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস খুনীদের ভুল প্রমান করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জয় হয়েছে। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জ্ঞানের খোরাক মেটাতে এবং সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী প্রেক্ষাপট জানতে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, “ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এই আদর্শ দেশ ও জাতির পথচলার জন্য সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে।”
অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১১ টায় এবং বেলা ২ টায় পুরস্কার প্রদানের পর শিক্ষাবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. বিপ্লব মল্লিক সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করেন।